মালালার জন্য মায়াকান্নাকারী রা আজ কোথায়?
লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ গনি ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:৪৪:৪৪ রাত
মনে আছে মালালার কথা? কথিত তালেবান হামলার গল্প বানিয়ে বিশ্বমিডিয়ার সেকি মায়াকান্না। মাসজোড়ে শীর্ষনিউজ ছিল মালালা আর মালালা।
সেদিন মানবতার ঠিকাদারদের উদ্বেগে
পত্রিকার পাতাগুলো কালি-রঞ্জিত হয়েছিল।
সেদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদেরকে মানবতা ও নারী স্বাধীনতা বিরোধী প্রমাণের জন্য এমন কোনো অপপ্রচার নেই যা লালচামড়াধারীদের তল্পিবাহক মিডিয়াগুলো চালায়নি। পাকিস্তানকে মালালার জন্য অনিরাপদ আখ্যা দিয়ে নিজস্ব বিমানযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্ষণ-স্টেইট আমেরিকায়। তার ও তার পরিবারের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার ব্যবস্থা করে নিজেদেরকে মানবতার ঠিকাদার প্রমাণ করে। শান্তি প্রতিষ্টার অগ্রদূত?? হিসেবে তার
জন্য নোবেলের প্রস্তাব করা হয়।
যদিও বা তার দ্বারা কি শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা সম্পর্কে বিশ্ববাসী অজ্ঞাত।
বিভিন্ন অনুষ্টান-সেমিনারে তাকে উপস্থিত
করে তাকে হামলার করুণ কল্পকাহিনী
শুনিয়ে বিশ্বসমাজকে মুসলমানদের বিরোদ্ধে ফুসিয়ে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা চালানো হয়। যাতে তারা অনেকটা সফলও হয়েছিল।
মালালাকে কেন্দ্র করে সেদিনের সাজানো
ঘটনায় যাদের মানবতার সাগরে পাহাড়সম
ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছিল, তারা কি আজ
ফিলিস্তিনে নির্যাতিত-নিপীড়িত-নিঃস্ব ও
নিস্পাপ হাজারো নবজাতক, শিশু-কিশোর
ও নারীদের বুকফাটা আহাজারী শুনছে?
একটি কিশোরির জন্য শত শত মিডিয়ার
উপছে পড়া সহানুভূতিভরা? অন্তরের
বিশালতা কেন আজ এত সঙ্কির্ণ?
ফিলিস্তিনী নারী-শিশুদের জন্য তাদের সেই
সহানুভূতির পাপড়ীগুলো কেন আজ ফুল
হয়ে ফুটছেনা?
এক মালালাকে কথিত হামলার জন্য তাদের
বিবেক-সফটওয়ার ইসলামকে সন্ত্রাসের ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করেছিলো, মুসলমানদেরকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্টার অন্তরায় আখ্যা দিয়েছিলো। "মুসলমান মানেই এক ভয়ঙ্কর জন্তু, এই যেন
বোমা বিস্ফুরণ ঘটাবে" সুদূরপ্রসারী
উদ্দেশ্য নিয়ে মুসলমানদের বিরোদ্ধে বিশ্ব সমাজে এমন এক কুধারণা সৃষ্টি
করেছিল। যেন পৃথিবীর যত অস্থিতিশীলতা,
সবকিছুর জন্য এ মুসলমানরাই দায়ী।
...আজ ফিলিস্তিন জলছে। মৃত্যু সংখ্যা
হাজার ছাড়িয়েছে বহু আগে। সেই সংখ্যা
ক্রমবিদ্যমান। নারী-শিশুরাই ইজরাইলী
বর্বরদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। তাদের আক্রমণ থেকে মায়ের গর্ভের বাচ্চাটিও নিরাপদ নয়। গাজা এক ধ্বংসস্তুপে পরিণত। মিজাইলের আঘাতে সৃষ্ট আগুনের লেলিহান শিখা মেঘ ছুইছুই। আকাশ-বাতাসকে উত্তপ্ত ও অসহনীয় করে তুলছে এ অগ্নিগোলাগুলো। মুহূর্মুহ মিজাইল
বর্ষণে গাজা-ভূমি কম্পিত ও অস্থির।
সবুজ-শ্যামল এই ভূমিটি আজ নিস্পাপ শিশুদের রক্তস্রোতে প্লাবিত।
মালালাকে হামলায়? উদ্বিগ্ন সেই মিডিয়াগুলো
ও মিডিয়ার হর্তাকর্তাগং? আজও আছেন।
কিন্তু উদাও তাদের সহানুভুতি। তারা আজও
বিশ্বের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন, বিশ্বাবাসীকে আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণী শুনান, কিন্ত মালালাকে কেন্দ্র করে তাদের সেই উত্তপ্ত উদ্বেগঘাটি(অন্তর) আজ হীমশীতলতায় পরিণত।
ফিলিস্তিনীদের জন্য তাদের আচরণ ভিন্ন।
এ নির্যাতন-নিপীড়নে তাদের কোন উদ্বেগ
নেই। যেন উদ্বেগের কিছুই নেই। তারা
ফিলিস্তিনীদের হত্যায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কিছুই খুজে পায়না। তাদের সার্চ ইঞ্জিন ফিলিস্তিনীদের বেলায় অকাযকর।
মালালাও ছিল কিশোরী, আর ফিলিস্তিনে
নির্যাতন-নিপীড়িতদের অধিকাংশ
শিশু-কিশোর। মালালাকে আক্রমণের
ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ, আর ফিলিস্তিনে আক্রমণের ঘটনা দিবালোকের ন্যয় স্পষ্ট। একজন কিশোরীকে (প্রশ্নবিদ্ধ) আক্রমণকে কেন্দ্র
করে মুসলমানরা আজ তাদের বিবেচনায়
সন্ত্রাসী, ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম। আর ইহুদী-ইজরাইলী বর্বর কতৃক হাজারো
শিশুকে হত্যার নির্মমচিত্র স্বচক্ষে দেখেও তাদের চোখে ইহুদিরা শান্তির প্রিয়াসী ও মানবতার ঠিকাদার। বিবেক সফটওয়ারের
এ কেমন দ্বি-মুখী আচরণ? মালালার জন্য তাদের কলমের অবিরত
বাক্যবর্ষণে পত্রিকার পাতায় রঙ্গিন কালির ঢেউ নেমেছিলো, কিন্তু ফিলিস্তিনী শিশুদের জন্য তাদের সেই কলমগুলো আজ বৃষ্টি বর্ষণ করেনা। কারণ তারা মুসলমান বা মুসলমানের ঘরে জন্ম লাভ করেছে। সুতরাং তাদের জন্য কোনো সহানূভুতি
থাকতে পারেনা। মুসলিম নিধনই তো তাদের কাছে মানবতা প্রতিষ্ঠার সমার্থক।
তাই গাজার শিশু-কিশোরদের নিধনযজ্ঞে
ইজরাইলীদেরকে নিরব সমর্থন দেওয়াটাই
তো তাদের জন্য শ্রেয়তর।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইদানিংকালে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইসলামগ্রহণকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। আর নারীদের ইসলাম গ্রহণ শুধু পরিবার নয়; সমাজেও বড় প্রভাবক। এভাবে ইসলামগ্রহণের ধারা রোখা নাগেলে তাদের ধর্মের বিলুপ্তি অনিবার্য। তাই তারা তাদের ধর্ম ও অস্থিত্ব নিয়ে অধিক শঙ্কিত। ইসলামের বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদের অস্থিত্ব আরো কিছুদিন টিকিয়ে রাখতেই তারা এই ধরণের গল্প বানাতে ব্যস্ত।
ইসলামের বিরোদ্ধে অপপ্রচারে তারা নারী কিংবা শিশুদেরকেই বেচে নেয়। মালালার ঘটনা তারৈ একটি উদহারণ।
মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
মালালাকে শ্রীলংকা সফরের জন্য বিশেষ তালিম দিয়ে প্রস্তুত পরছে পিসিবি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন